শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে প্রবাসী মোঃ মামুন মিয়া জানান, আসলাম ও আকাশ গংরা আমার ভাগ্নে, ভগ্নিপতী ও বোন। তারা আমাদের বাড়ীতে প্রায় ৩ বছর ধরে বসবাস করছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তায় আমাদের বাড়ি ও জায়গা দখল নেয়ার চেষ্টা করছে দীর্ঘদিন যাবত। আমাদের বাড়ী থেকে তাদের বার বার চলে যেতে বললে তারা বাড়ী থেকে না যেতে অসম্মতি জানায়।
মামুন আরো বলেন, এক পর্যায়ে এই বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বীদের নিকট বিচার দিলে বিষয়টি নিয়ে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সী, আব্দুস সালাম, আফসার আলী, বাদল মন্ডল গুট্টু, ইসমাইল হোসেন উপস্থিত থেকে বিচার শালিস করে আসলাম ও আকাশ গংরাদের বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
কিন্তু আসলাম ও আকাশ গংরা বিচার শালিস না মেনে আমাদের বাড়ী ছাড়ার হুমকি দেন। পরে আসলাম ও আকাশ গংরা আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে আমার বাড়ী ঘরের দরজা ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা ও টিভি, সোকেস, ওয়ারড্রপসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এতে আমাদের প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আঃ মজিদ জানান, আসলাম ও আকাশ গংরা মালদ্বীপ প্রবাসী মামুন ও রাশিদুলের বাসায় হামলা ও ভাংচুর করেন। আমরা ভাংচুরের শব্দে এগিয়ে আসলে আসলাম ও আকাশ গংরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে তারা আবারও পূর্বের মত হিংসাত্মক আচারণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে হামলা ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী জানাচ্ছি। পরবর্তীতে আর যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সী জানান, আসলাম ও আকাশ গংরা আমার ইউনিয়নের ভোটার। তারা কোবদাসপাড়া এলাকায় থাকেন। মামলায় উল্লেখিত আসলাম ও আকাশ গংরা বাদীর সাথে মামা ভাগ্নে সম্পর্ক। শুনেছিল তাদের মাঝে অনেক দিন হলো কোন্দল চলছিল। একটা সালিশ করে ইতিমধ্যে মিমাংসা করেছি।
সিরাজগঞ্জ সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
