শাহিন রেজা: ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায় বিবাদীর নাম – মো: আব্দুল মালেকে ওরফে মালাম(৪২), পিতা – মো: আব্দুল মজিদ গ্রাম রশিদপুর। অথচ বিবাদীর জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করে দেখা যায় তার নাম মো: আব্দুল মালেক। পিতা- মে: হাবিবুর রহমান। গ্রাম: নয়াপাড়া।

এমনি একটি ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানায় কর্মরত এসআই মোহাম্মদ মোনাহার হোসেনের বিরুদ্ধে।
এদিকে কোর্টে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, কোর্ট থেকে তদন্তের অনুমতি পাওয়ার পরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সম্পর্কে স্বাক্ষীদের সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং গোপনেও তদন্ত করা হয়। এছাড়াও বিবাদীর নাম ঠিকানা বয়স পূর্ণাঙ্গ যাচাই করা হয়।
বিবাদী মো: আব্দুল মালেক অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা ঘটনাকে সত্যির রুপ দিতে এসআই মনোহার আমার কাছে কিছু না শুনেই বাদীর কাথা অনুযায়ী মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করে দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনের ঘটনাও সম্পন্ন মিথ্যা। তিনি আমার এলাকার কারো কাছে কোন তদন্তই করেননি এবং আমার নাম ঠিকানাও যাচাই করেননি।
মামলা সূত্রে যানাযায়, মেশিনারি ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সলঙ্গা থানায়, খুন জখমের ভয়ভীতি দেখানো সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের একটি অভিযোগের দায়ের হয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সলঙ্গা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উক্ত থানার কর্মরত এসআই মোনাহার হোসেনকে নির্দেশ দেন।
অভিযোগটি অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পরায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরী ভুক্ত করেন এবং তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালতে কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন এসআই মোনাহার।
আদালত গত (৮জুলাই) ২০২৫ তদন্তের জন্য তাকে অনুমতি প্রদান করেন।
কিন্তু অভিযোগের ঘটনাটি কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই বাদির দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে লেখনির উপর ভিত্তি করেই গত (১৮জুলাই)২০২৫ বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেন।
ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে এস আই মোনাহার এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে কি লেখা হয়েছে সেটি আমার মনেনেই। পরে দেখে আপনাকে জানাবো।
এদিকে, এই এসআই মোনাহারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নানা অনিয়মের অভিযোগে দৈনিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয়েছে। এর পরেও কেনো তার বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্নকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি সম্পর্কে এসআই মোনাহার’র সাথে কথা বলে আপনাকে জানানো হবে।
