হুমায়ুন কবির সুমন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ’র বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপ-প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদল।
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অর্থ লেনদেনের বিষয়টি পরিষ্কার করতে সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রদল সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ বলেন, টাকার যে ভিডিওটা দেখা গেছে সেটা কোনো চাঁদাবাজির টাকা না। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াগোবিন্দ মহল্লার জমি কেনাবেচার পাওনা টাকা।
গত ১০ মাস আগে তার বাড়ির পাশের মনোয়ার হোসেন জিন্নাহ তার জমি আব্দুল আজিজের নিকট বিক্রি করেন। জমিটির দাম ধার্য হয়েছিল ২৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এর মধ্যে দুই কিস্তিতে মোট ২০ লাখ টাকা চেকে মাধ্যমে পরিশোধ করেছে ক্রেতা আব্দুল আজিজ। বাকি টাকা জমি রেজিস্ট্রির সময় দেওয়ার কথা ছিল। জমি বিক্রেতা জিন্নাহ টাকা নেওয়ার সময় জুনায়েদ হোসেন সবুজকে প্রমাণস্বরূপ উপস্থিত রাখেন।
তিনি বলেন, ভিডিওতে উল্লেখিত ৬ হাজার টাকা আসলে দলিল লেখকের প্রাপ্য। অথচ ভিডিওর একটি অংশ যাচাই না করেই প্রকাশ করেছেন তৈমুর ফারুক নামে এক সাংবাদিক। তার মিথ্যা এ ভিডিও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।
আমার বন্ধু জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারিক নিজেও সেই টাকা লেনদেন এর সময় উপস্থিত ছিলেন। আমার সাথে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আমি জমির দলিলের কপি সিরাজগঞ্জ সদর থানায় জমা দিয়েছি এবং এ ঘটনায় মানহানির মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জমি বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন জিন্নাহ বলেন, আমি আব্দুল আজিজের নিকট জমি বিক্রি করি। সেই জমি বিক্রির টাকা নেওয়ার সময় জুনায়েদ হোসেন সবুজকে উপস্থিত থাকতে বলি। তিনি আরো বলেন, ভিডিওতে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে তা আমার জমি বিক্রি ৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আর ৬ হাজার টাকা দলিল লেখকের জন্য দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বিষয়টিকে ভিন্নভাবে প্রচার করে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জমির মালিক মনোয়ার হোসেন জিন্নাহ, মোঃ জাহাঙ্গীর, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রোমান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকাশসহ জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও গত ২ সেপ্টেম্বর রাত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক তৈমুর ফারুক ভিডিওটি তার ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।