শনিবার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮১৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দিক থেকে টাঙ্গাইল হয়ে উত্তরের পথে গেছে ২৯ হাজার ২টি বাহন। আর উত্তরের দিক থেকে সেতু পেরিয়ে ঢাকার পথে গেছে ১২ হাজার ৮১৫টি বাহন।
আহসান মাসুদ বাপ্পী আরো বলেন, আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে এই সময়ে উত্তরাঞ্চলের দিকে ৩ হাজার ৮৮৯টি বাহন বেশি পার হয়েছে। আর উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী লেইনে যানবাহনের সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৬২৭টি। ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উত্তরের পথে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক এবং শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া আঞ্চলিক সড়কে যানজটের ভোগান্তি বেড়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট লেগে ছিল ওই এলাকায়। মালবাহী ট্রাক, খোলা ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সড়কে হঠাৎ বিকল হওয়া যানবাহন এবং সেতুতে চালকদের আগে ওঠার প্রবণতা ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
এদিকে যাত্রীবাহী কিছু গাড়ি ঘুরপথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের মুলিবাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা হয়ে উত্তরাঞ্চলের পথে চলাচল করছে। ফলে শহরের কাটাওয়াবদা, বাজার স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও কাঠেরপুল এলাকায় যানজটে পড়তে হচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ওসি লুৎফর রহমান বলেন, সড়কে যানবাহন বিকল হলে বা দুর্ঘটনা ঘটলেই বিপত্তি বাধে। বিকল গাড়ি সরিয়ে নিতে যে সময় ব্যয় হয়, ততক্ষণে বিপুল সংখ্যক গাড়ি আটকা পড়ে যায়। তাছাড়া চালকদের লেইন না মেনে গাড়ি চালানোর প্রবণতাও ভোগান্তি বাড়ায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান ওসি।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালেকুজ্জামানা সালেক বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সড়ক ও মহাসড়কে ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
